এই সম্পর্কে টিকে থাকলে কে বেশি লাভবান হবে-আমি না আমার বাচ্চা?

এই সম্পর্কে টিকে থাকলে কে বেশি লাভবান হবে-আমি না আমার বাচ্চা?

আমার বিয়ের বয়স ১৪ বছর।  নয় বছরের একটি মেয়ে আছে। আমার স্বামী  antipsychotic medicine খান। Abilify আরো কি যেন। উনার পরিবার নিম্নমধ্যবিত্ত ও অশিক্ষিত। অপরদিকে আমার পরিবার শিক্ষিত ও শালীন। আমি কিছুতেই উনার পরিবারের সাথে মিশিনি এবং পারিওনি বেশিক্ষণ কথা বলতে। আমরা দেশের বাইরে থাকি। উনি সব সময় আমার মা-বাবাকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে কথা বলেন, আমার সামনেও তা বলেন। আমার পরিবারের বহু মানুষ সম্পর্কে উনি আজেবাজে মন্তব্য করেন। কেউ আমাকে বা আমার মেয়েকে স্পর্শ বা কোন নৈকট্য লাভের সম্ভাবনা থাকলে সেই মানুষটিকে উনি বিষ দৃষ্টিতে দেখেন এবং বলেন যে তার চরিত্র খারাপ। 

আমার স্বামীর এহেন আচরণে আমি প্রায় সামাজিকতাহীন নির্জীব একটি প্রাণীতে পরিণত হয়েছি। আমার কারো সাথে কথা বলার অধিকার নেই এবং এরকম কিছু টের পেলে উনি তার মাঝখানে ঢুকে পড়েন। ফলে সম্পর্ক এক সময় শেষ করে দিতে হয়। আমার কোন শারীরিক সম্পর্ক নেই এবং সেরকম কোন রোম্যান্টিক শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে উনি পারেনও না। উনি জানেন কিভাবে ঝাঁপিয়ে পড়তে হয় এবং নিজেরটা আাদায় করতে হয়। উনি নরমভাবে আগাতে চাইলেও আমি গ্রহণ করতে পারি না। আমি অনুভব করি উনি যেন আমাকে জানার চেষ্টা করেন না বরং শুধু সমালোচনাই করে যান। আমি কিছুতেই participate করতে, উনার সাথে মনোযোগী হতে অর্থাৎ উনাকে মেনে নিতে পারিনি। এমতাবস্থায় আমার নিজেকে জীবন মৃত মনে হয়। 

এদিকে আমার মা, পরিবার সব জেনেবুঝেও চোখ বন্ধ করে থাকেন এই আশায় যে উনারা গা না করলে আমি একসময় এই সম্পর্কই নিজের জীবনে মেনে নিবো আর তাতে আমার বাচ্চাও লাভবান হবে। 

আমার প্রশ্ন, আমি এই সম্পর্কে এভাবে টিকে থাকলে কে বেশি লাভবান হবে? আমি না আমার বাচ্চা? আর যদি বাচ্চা লাভবান হয়ও, আমার পরিণতি কি ভাল হবে? আমি চাই আমি এহেন মানসিক শারীরিক অহেতুক অত্যাচার থেকে বেরিয়ে আসি আর আমার পরিবার চায় আমি এভাবেই থাকি। এটাকে কিভাবে ব্যাখ্যা করবেন? আমি কি আমার মনের কথা শুনবো না তাদের কথা শুনব?

আমাদের পরামর্শ

অনেক ধন্যবাদ মনোযোগী মন-এর উপর আস্থা রেখে আপনার বর্তমান অবস্থা এবং মনের কোনে জমে থাকা প্রশ্নগুলো উত্থাপন করার জন্য। আপনার প্রশ্নগুলো থেকে বুঝতে পারছি, স্বামীর সাথে বৈবাহিকসূত্রে যে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল তা নিয়ে আপনার মন দ্বিধাবিভক্ত। এ নিয়ে আপনি প্রচন্ড দ্বন্দ্বে ভুগছেন।

আপনার প্রশ্নগুলোর উত্তর দেওয়া বা এ সংক্রান্ত আলোচনায় যাওয়ার আগে একজন পেশাজীবী মনোবিজ্ঞানীর কাজের সীমা সম্বন্ধে বলে নিতে চাই। একজন ব্যক্তি বা ক্লায়েন্ট যখন কোন মাধ্যমে তার মনোসামাজিক সমস্যা তুলে ধরেন এবং সাহায্য কামনা করেন, সেক্ষেত্রে আমরা পেশাজীবী মনোবিজ্ঞানী হিসেবে সেই সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে প্রত্যক্ষ কোন নির্দেশনা বা উপদেশ দেই না। কারণ প্রত্যক্ষ নির্দেশনা দেয়া আমাদের পেশাগত সীমার বাইরে। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে তাহলে একজন পেশাজীবী মনোবিজ্ঞানীর কাজটা কি? আর মনোযোগী মন-এর এই ফোরামে কেনইবা মনোসামাজিক প্রশ্ন পাঠাতে বা তুলে ধরতে বলা হয়? একটু যদি ব্যাখ্যা করি তাহলে হয়ত বুঝতে পারবেন।

পেশাজীবী মনোবিজ্ঞানী অথবা কাউন্সেলরদের মূল কাজটি হচ্ছে ক্লায়েন্টের মনের ভেতরে জমে থাকা চিন্তা এবং অনুভূতিকে প্রকাশে সাহায্য করা, যাতে করে ক্লায়েন্ট তার আচরণের উপর ঐ চিন্তা এবং অনুভূতির প্রভাব সম্পর্কে ধীরে ধীরে সচেতন হতে পারেন। তাছাড়া কোন সমস্যায় পড়লে ক্লায়েন্টের চিন্তা, অনুভূতি এবং আচরণ কিভাবে প্রভাবিত হচ্ছে তা বুঝতে সহায়তা করা। আবার এই পরিবর্তিত চিন্তা, অনুভূতি এবং আচরণের জন্য যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে এবং তা কিভাবে সমস্যাকে আরো দীর্ঘায়িত করছে- এই বিষয়গুলোর মধ্যে ক্লায়েন্ট যাতে সংযোগ স্থাপন করতে পারে, সেই লক্ষ্যে পেশাজীবীরা কাজ করে থাকেন।

এছাড়াও ক্লায়েন্ট যদি ভিন্ন উপায়ে নিজের সমস্যামূলক পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে চায় তাহলেও সমস্যার ভারে চাপা পড়ে যাওয়া তার মানসিক দক্ষতা এবং শক্তিকে পুনরুজ্জীবিত করতে মনোবিজ্ঞানীরা সাহায্য করে থাকেন। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়ায় মনোবিজ্ঞানী মানসিকভাবে ক্লায়েন্টের পাশে থাকেন। ক্লায়েন্ট এবং মনোবিজ্ঞানীর সম্পর্কটা অনেকটা পা ভেঙে গেলে বা পায়ে ব্যথা পেলে মানুষ যখন ক্রাচে ভর করে দাঁড়ায় এবং হাঁটে অনেকটা সে রকম। ক্রাচের সাহায্যে বা ভর করে হয়তো আপনি উঠে দাঁড়াবেন কিন্তু আপনিই নির্ধারণ করবেন আপনি কোন পথে হাঁটবেন। ক্রাচ আপনাকে তার সাহায্যে আপনার শরীরের ভার বহন করতে কিছু সময় সাহায্য করবে, কিন্তু যখন আপনার ব্যথা কমে যাবে তখন আপনি নিজের পায়েই পথ চলবেন।

এখন আপনার সমস্যা বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করব, যাতে করে আপনি এ নিয়ে আপনার চিন্তা, অনুভূতি এবং আচরণ সম্পর্কে সচেতন হয়ে নিজেই সমস্যা সমাধানের উপায়গুলো বের করতে পারেন। 

আপনার লেখা থেকে বুঝতে পারছি, আপনার মতে বৈবাহিক জীবনে আপনাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের পেছনে দুইজনের পরিবারের সামাজিক অবস্থান এবং পরিবারের কাঠামোর ভূমিকা রয়েছে। আপনি আরও বলেছেন, আপনার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে স্বামী নেতিবাচক মন্তব্য করেন। বোধ করছি, এ থেকে স্বামী এবং তার পরিবারের প্রতি আপনার ভেতরে এক ধরনের নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম হয়েছে। লক্ষণীয় যে, আপনি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সাথে তেমন মিশতে পারেন নি। যেহেতু আপনারা দেশের বাইরে থাকেন, ধরেই নেয়া যায়, আপনাদের দুইজনের পরিবারের লোকজন সাথে থাকেন না। ফলে, আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্কে নিজ নিজ পরিবারের সরাসরি ভূমিকা থাকার সম্ভাবনা কম। সেক্ষেত্রে পরিবারকে আলোচনার কেন্দ্রে না রেখে মনোযোগটা যদি নিজেদের ওপরে আনা যায়, তাতে আপনারা আপনাদের দাম্পত্য সম্পর্ককে আরো ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। বলা বাহুল্য, একে অন্যকেও ভালোভাবে বুঝতে পারবেন। একটু কি ভেবে দেখবেন যে, দাম্পত্য সম্পর্ক কেমন হবে তা আপনাদের দুইজনের পরিবারের ওপর নির্ভরশীল কিনা? অর্থাৎ আপনারা কেমন থাকবেন তা আপনাদের রেখে আসা পরিবারের কাঠামো, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক অবস্থানের ওপর ছেঁড়ে দিয়েছেন কিনা?

আপনি আরও বলেছেন আপনার স্বামী এন্টি-সাইকোটিক (Anti-psychotic) ওষুধ খাচ্ছেন এবং আপনি একটি ওষুধের নামও উল্লেখ করেছেন। তিনি কবে থেকে ওষুধ খাচ্ছেন এবং মূলত কোন ধরনের মানসিক সমস্যার জন্য এই ওষুধ সেবন করা শুরু করেছিলেন তা উল্লেখ করেন নি। তবে মনে করা যেতে পারে, আপনার স্বামী হয়তবা অনেকদিন থেকেই একধরনের মানসিক সমস্যায় ভুগছেন যার ফলশ্রুতিতে এ ধরনের ওষুধ সেবন করছেন। অনেকসময় মানসিক সমস্যাগ্রস্থ ব্যক্তি তার আচরণের ওপরে যৌক্তিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেন না। আপনার সাথে তার আচরণের যে প্রকৃতি, সেক্ষেত্রে এর কিছু লক্ষন প্রকাশ পেয়েছে। যেমন, আপনি বলেছেন, উনি প্রচন্ড সন্দেহপ্রবণ,  ফলে আপনি সামাজিক সম্পর্ক তৈরিতে ভীষণ বাঁধাগ্রস্ত হচ্ছেন। তাছাড়া আপনার স্বামী আপনার এবং আপনার পরিবারের সাথেও অনেক দুর্ব্যবহার করেন। তার মানে ঐ মুহূর্তে তিনি তার আচরণের ওপরে যৌক্তিক নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারছেন না! আপনি কী স্বামীর মানসিক অসুস্থতা নিয়ে বিস্তারিত জানেন? মানে, কখন, কী কারণে, কোন লক্ষণ দেখা যায়-এইসব? মানসিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত ব্যক্তির সাথে যথপোযুক্ত যোগাযোগ অথবা ভালো সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এসব তথ্য জানা খুব জরুরি।

আপনাদের যৌন সম্পর্কের উপর স্বামীর চলমান মানসিক অবস্থার কিছু প্রভাব হয়তবা থাকতে পারে। আপনার প্রতি স্বামীর এ ধরনের আচরণ প্রকাশের পেছনের কারণগুলো নিয়ে একটু ভেবে দেখলে, হয়ত আপনাদের সম্পর্কের টানাপোড়েনের উৎসগুলো আপনি নির্ণয় করতে পারবেন। বুঝতে পারছি, আপনার প্রতি তার এহেন আচরণ আপনাকে ভীষণ কষ্ট দিচ্ছে। আপনি সরাসরি না লিখলেও আপনার লেখার প্রকাশ থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, আপনি তার প্রতি প্রচণ্ড রাগ বোধ করছেন। দীর্ঘদিন এ ধরনের পরিস্থিতির ভেতর দিয়ে যাওয়ার ফলে আপনি মানসিক আর শারীরিক ভাবে প্রচণ্ড ক্লান্ত বোধ করছেন। আপনার প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করছি!

দাম্পত্য জীবনে শারীরিক সম্পর্কের ভূমিকা কিন্তু অনস্বীকার্য। শারীরিক সম্পর্কটি যদি স্বাস্থ্যকর না হয় তবে অনেক ক্ষেত্রেই সেটা মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একটি স্বাস্থ্যকর শারীরিক সম্পর্কের জন্য দুইজনের মধ্যে মানসিক সংযোগ স্থাপন জরুরি। আপনাকে অনেক সাধুবাদ দিব এই বিষয়টি তুলে ধরার জন্য। অনেক ক্ষেত্রেই যৌন সম্পর্কের বিষয়টি আমাদের সমাজে ধামাচাপা দেয়া হয়ে থাকে এবং এ নিয়ে কথা বলতে মানুষ সংকোচ বোধ করে। 

আপনি আরও বলেছেন, স্বামী আপনাকে জানা বা বোঝার চেষ্টা করেন না বরং সমালোচনা করেন, ফলে তার সাথে আপনার মানসিক দূরত্ব ধীরে ধীরে বেড়ে গেছে। স্বামীর প্রতি আপনারও এক ধরনের নেতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়েছে। বোধ করছি, জীবনসঙ্গী হিসেবে আপনারা একে অন্যকে যে সম্মান, সহমর্মিতা এবং ইতিবাচক মনোভাব বিনিময় করার কথা, তা যথোপযুক্তভাবে হচ্ছে না। আপনার ভেতরে অনেক রাগ এবং অভিমানের জন্ম হয়েছে; এর ফলে তাকে বা তার বিষয়গুলো গ্রহণ করতে আপনি একদমই আগ্রহবোধ করেন না। বলা যায়, আপনাদের পারস্পরিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে অদৃশ্য এক দেয়াল তৈরি হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে, আপনার অস্তিত্বকেও আপনি উপভোগ করছেন না। আপনি হয়ত আপনার আবেগগুলোও যথপোযুক্তভাবে কোথাও প্রকাশ করতে পারছেন না।

আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার লেখা থেকে ফুটে উঠেছে। আপনি মতে, দাম্পত্য জীবনের যে টানাপোড়েনের ভিতর দিয়ে আপনি যাচ্ছেন, আপনার পরিবার আপনার কথামত “শিক্ষিত ও শালীন” হওয়া সত্বেও সেটার প্রতি সহমর্মী নয়। এখানেও আপনার বাবা মায়ের আচরণের জন্য তাদের প্রতি আপনার একধরনের নেতিবাচক অনুভূতির জন্ম হয়েছে বোধ করছি। সেই নেতিবাচক অনুভূতি হতে পারে রাগ, অভিমান, অসহায়ত্ব বা একাকীত্ব, যদিও আপনি আপনার অনুভূতির কথা এখানে উল্লেখ করেন নি। তবে, প্রত্যেকটি অভিজ্ঞতার সাথে আমাদের কোন না কোন অনুভূতি জড়িত থাকে এবং সে অনুভূতি সম্পর্কে যদি আমরা সচেতন হই, যথোপযুক্তভাবে প্রকাশ করতে পারি, তবে তা আমাদের  আচরণের যৌক্তিক প্রকাশ ঘটায়।  

এ প্রসঙ্গে আমি আপনার তৃতীয় প্রশ্নটিতে যদি আলোকপাত করি তাহলে দেখা যায়, আপনি চাচ্ছেন আপনার বৈবাহিক সম্পর্কটা থেকে বের হয়ে আসতে কিন্তু আপনার পরিবার তা চাচ্ছে না। আপনি দ্বিধায় আছেন, কোন পথে এগুবেন। এক্ষেত্রে বলব আপনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। আপনি নিজের জীবন সম্পর্কে  সিদ্ধান্ত নেবেন, সেটাই যৌক্তিক এবং যে সিদ্ধান্তটি আপনি নিবেন তার ফলাফলের দায়িত্বও কিন্তু আপনাকে নিতে হবে। সেই জন্য সিদ্ধান্তটি যেন আপনার অনুভূতি আর যুক্তির সাথে সংযোগস্থাপনের মাধ্যমে হয় সে বিষয়ে একটু সচেতনতা আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে আপনি একজন পেশাজীবী মনোবিজ্ঞানী বা কাউন্সেলরের শরণাপন্ন হতে পারেন।

আপনি  আরও জানতে চেয়েছেন যে, সম্পর্কটি টিকিয়ে রাখলে আপনি না আপনার বাচ্চা লাভবান হবেন? এক্ষেত্রে এই ফোরামে সরাসরি কোন উত্তর দেয়া ঠিক হবে না কারণ এটা নির্ধারিত হবে অনেকগুলো প্রেক্ষাপটের বিশ্লেষণের মাধ্যমে। শুরুতেই কিন্তু আপনাকে এই ফোরাম বা মনোবিজ্ঞানীর কাজের সীমার জায়গাটা উল্লেখ করেছি। এক্ষেত্রে একটি বিষয় আপনার জন্য বলতে চাই যে, যেহেতু বাচ্চাটির প্রতি আপনাদের দুইজনেরই দায়িত্ব রয়েছে, সেটা মাথায় রেখে বাচ্চার স্বাভাবিক বিকাশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আপনারা দুইজন বা তিনজনই কোন পেশাজীবী মনোবিজ্ঞানী বা ফ্যামিলি থেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে পারেন। এতে করে দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণ এবং ব্যপ্তিগুলো নিরুপনের মাধ্যমে আপনাদের জন্য একটি ফলপ্রসূ সিদ্ধান্তে আপনারা নিজেরাই হয়ত পৌঁছাতে পারবেন।  

অনেক শুভকামনা রইল, ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন।    

Author profile pic
ইরফানা সামিয়া
+ posts

আমি একজন শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী এবং সাইকোথেরাপিস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান-এ স্নাতক, পেশাগত শিক্ষা মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং এম ফিল সম্পন্ন করেছি। তাছাড়া ভারত থেকে কাউন্সেলিং বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছি। দীর্ঘ ১৩ বছর কাউন্সেলিং পেশার সাথে যুক্ত আছি। বর্তমানে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সিনিয়র কাউন্সেলর হিসাবে কাজ করছি।

Post Author: ইরফানা সামিয়া

আমি একজন শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী এবং সাইকোথেরাপিস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান-এ স্নাতক, পেশাগত শিক্ষা মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং এম ফিল সম্পন্ন করেছি। তাছাড়া ভারত থেকে কাউন্সেলিং বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছি। দীর্ঘ ১৩ বছর কাউন্সেলিং পেশার সাথে যুক্ত আছি। বর্তমানে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সিনিয়র কাউন্সেলর হিসাবে কাজ করছি।

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।