ইন্টারনেট আসক্তি

আপনি কী ইন্টারনেট দাসে পরিণত হচ্ছেন?

ভার্চ্যুয়াল জগৎ হচ্ছে ইন্টারনেটে আপনার যে জগৎ। ইদানীং আমাদের দুটি অবস্থান স্পষ্ট। একটা বাস্তবের আপনি, আরেকটা ইন্টারনেটে আপনি। সম্প্রতি বাস্তবের মানুষটি থেকে ইন্টারনেটের মানুষটির গুরুত্ব সাংঘাতিক বেড়ে গেছে। ইন্টারনেটে আপনাকে খুঁজে না পাওয়া গেলে মানুষজন ধরে নেয় যে আপনি কিছুই করছেন না। আপনার অবস্থানই স্বীকার করতে চায় না। কী মুশকিল!

ইন্টারনেটে অবস্থান বলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনার উপস্থিতি, ইন্টারনেট ব্যবহার করে যোগাযোগ করা যেমন: ভাইবার, ইমো, মেসেঞ্জার দিয়ে কথা বলা, চ্যাট করা, ই-মেইলে চিঠি লেখা, নিজের মতামত ব্লগে প্রকাশ করা, ইত্যাদি।

এ ছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহার করে পড়াশোনা, জিনিস বেচাকেনা, বিনোদন, খেলাধুলা এখন দারুণ জমে উঠেছে। ফলে এক মুহূর্তও ইন্টারনেট ছাড়া থাকা যেন কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

সামাজিকতা, স্মার্টনেস, ব্যবসা কিংবা জ্ঞানের বিতরণে তাই আপনাকে দ্বারস্থ হতেই হচ্ছে ইন্টারনেটের কাছে। এটাই এখন সত্য। এটাকে অস্বীকার করে চলার উপায় নেই। ইন্টারনেট হয়ে উঠেছে জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আপনার স্বজাগ সময়ের অনেকটা সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করেই চলে যাচ্ছে। এতই যখন ইন্টারনেটের সাথে আমাদের ঘনিষ্ঠতা, এর ব্যবহারের হেরফের হলেও মানসিক চাপ তৈরির আশঙ্কাও তৈরি হয়।

সম্প্রতি ইন্টারনেটের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার আসক্তির পর্যায়ে চলে গেছে। অন্যান্য ক্ষতিকর আসক্তির মতো ইন্টারনেট-আসক্তিকে একটা মানসিক অসুস্থতা হিসেবে দাবি করা হচ্ছে। [1] কেননা, এর উপসর্গগুলো অন্যান্য আসক্তির উপসর্গের মতোই ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হচ্ছে। যেমন: প্রয়োজনের তুলনায় অধিকক্ষণ ইন্টারনেটে থাকা, কমানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়া, ইন্টারনেট ব্যবহার নিয়ে মিথ্যা বলা, নেতিবাচক আবেগ তৈরি হওয়া, ইন্টারনেটে না থাকলে অস্থির বোধ করা ইত্যাদি।

আমাদের একটি গবেষণায় দেখেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক পাস করা ছাত্রছাত্রীদের প্রায় ২৪ শতাংশ ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেটা আসক্তির পর্যায়ে পড়ে।[2] এদের মানসিক চাপ অর্থাৎ মানসিক স্বাস্থ্য অন্যদের তুলনায় বেশি খারাপ। এই হারটা ছেলে, ধূমপায়ী এবং যারা কোনো ধরনের কায়িক পরিশ্রম বা খেলাধুলার সাথে জড়িত নয়, তাদের বেলায় বেশি দেখা গেছে। যারা ইন্টারনেট-আসক্তিতে ভোগে তাদের মধ্যে বেশি বিষণ্নতা এবং একাকিত্ববোধ কাজ করে। কেননা, অধিক সময় ইন্টারনেটে থাকার ফলে বাস্তবে সামাজিকতা গড়ে ওঠে না। ফলে সামাজিক দক্ষতার ঘাটতি হয়। কায়িক পরিশ্রম হয় না বলে শরীর ও মনে বিরূপ প্রভাব দেখা যায়। কোরিয়ায় ইন্টারনেট-আসক্তি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে সেখানে এটি থেকে মুক্তির জন্য আলাদাভাবে ক্লিনিক চালু হয়েছে।

Internet addiction

শুধু আসক্তিই না, ইন্টারনেটের তথ্য বিস্ফোরণও মানুষকে চাপে ফেলতে পারে। অতিরঞ্জিত তথ্যের ভিড়ে কোনটা যে সঠিক আর কোনটা যে ভুল তা বিবেচনা করা কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে বিভ্রান্তি বেড়ে যায়।

আরও প্রকট যে সমস্যাটি চোখে পড়ছে তা হলো, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। বাংলাদেশে এখনো শুধু ফেসবুকের প্রভাবই বেশি দেখা যাচ্ছে। প্রতিদিন কয়েক লাখ নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হচ্ছে। মানুষ কী খাচ্ছে, কী করছে, কোথায় যাচ্ছে তার সেকেন্ডে সেকেন্ডে হালনাগাদ তথ্য ও ছবি পোস্ট করছে ফেসবুকে। সামাজিক অনুষ্ঠান, খাওয়াদাওয়া কেমন হবে, সেটা বিবেচনার আগে ফেসবুকে তার আপডেট নিয়েই ব্যস্ত থাকছে সবাই।

ইদানীং ফেসবুক চালু করেছে ‘লাইভ’ সুবিধা। ফলে এখন শুধু লিখে বা ছবি দিয়ে নয়, এই মুহূর্তে আপনি কী করছেন তা টেলিভিশনের মতো লাইভ সম্প্রচার করতে পারছেন। আপনার বন্ধুরা দেখছে, মন্তব্য করছে, হাসছে! এত কিছু আসলে করা হচ্ছে মানুষের সুবিধার জন্য, একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কিছু মানুষ এটাকে এমনভাবে ব্যবহার করছে যাতে তার সুবিধা না হয়ে বরং ক্ষতিই হচ্ছে।

ইন্টারনেট নিয়ে অতিরিক্ত ও অতিরঞ্জিত মাতামাতি আসলে দিন শেষে কোনো মঙ্গল বয়ে আনছে না। মানসিক চাপ মোকাবিলা করার জন্য খুব নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে আপনাকে নিজের ইন্টারনেট ব্যবহার সম্পর্কে ভাবতে হবে। আপনার উপকারের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করছেন, নাকি ইন্টারনেটই আপনাকে ব্যবহার করছে? কেন মানুষ ইন্টারনেট নিয়ে এত মাতামাতি করছে? কী কারণ এর পেছনে? দেখা যাচ্ছে, এখানেও কিছু ভ্রান্ত ধারণা গেঁথে যায় মানুষের চিন্তায়।

ইন্টারনেট নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা

ইন্টারনেট মানেই সব তথ্য পাওয়া যায়

আসলেই কি তাই? আপনার প্রতিটি চাহিদা কি ইন্টারনেট থেকে পূরণ করতে পারবেন? ইন্টারনেট মানেই শেষ কথা নয়। এর বাইরে আছে বিশাল জগৎ, প্রকৃত জগৎ, ভালোবাসা, সুখ, দুঃখ, মান-অভিমান, সমস্যা আর সম্ভাবনা।

ভার্চ্যুয়াল বন্ধুই কী সব

— জি না। আপনার একাকিত্বে, বিপদে বা সুখের সময় চাইলেই ভার্চ্যুয়াল জগতের কোনো বন্ধুকে পাওয়া যায় না। ক্লায়েন্টদের বন্ধু নিয়ে একটা প্রশ্ন আমি করি। তাদের কয়জন বন্ধু আছে, যাদের সাথে সে প্রাণ খুলে আড্ডা দিতে পারে, নিঃসংকোচে নিচের দুঃখ বা হতাশার কথা বলতে পারে? এক-দুজন অথবা কেউ না। এ রকম উত্তরই বেশি, অথচ ফেসবুকে শত শত ভার্চ্যুয়াল বন্ধু। ইন্টারনেটের যোগাযোগ সরাসরি যোগাযোগ বা সাক্ষাতের বিকল্প হয় না। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটে না।

ইন্টারনেটে যা পাওয়া যায় তাই কি সঠিক

একেবারেই না। আমি একটা সাইকোলজির বই ডাউনলোড করলাম একবার। বিভিন্ন ধরনের মানসিক অসুখ নিয়ে লেখা। দেখে ভালোই মনে হলো। পরে ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখি এটা ১৬ বছরের স্কুলের একজন ছাত্র বানিয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য নিয়ে সে সুন্দর করে সংকলন করেছে। এ রকম একটা বইয়ে তথ্যের বিভ্রান্তি থাকা খুব স্বাভাবিক। অনেকেই কোনো কিছু নিয়ে সমস্যায় পড়লে বলেন নেটে সার্চ দাও। নেট বলে দেবে! আসলে ইন্টারনেটের নিজস্ব কোনো ভাষা বা বিবেচনা নেই। সে কেবল অন্যের জিনিস ধারণ করে। ভালোটাও করে, ভুলটাও করে!

ইন্টারনেট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে যত্নশীল হওয়াটা প্রচণ্ড গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিছুদিন আগেও এটাকে গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হতো না।

ইন্টারনেট-সংক্রান্ত মানসিক চাপ মোকাবিলার জন্য নিচে ৭টি পরামর্শ 

১. এক বা সর্বোচ্চ দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করুন

যদি আপনি সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে কোনো ধরনের ব্যবসা না করে থাকেন অথবা আপনার কাজটাই সামাজিক মাধ্যম নিয়ে না হয়ে থাকে, তবে এক-দুইটার বেশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেকে জড়িয়ে রাখবেন না। যত বেশি অ্যাকাউন্ট তত বেশি সময় ব্যয়, তত বেশি জাঙ্ক ডেটা আপনার মস্তিষ্কে জমা হয়। স্মার্টফোনের জন্য ক্লিন মাস্টার আছে, কিন্তু আপনার মস্তিষ্কের জন্য কী করবেন?

২. সামাজিক যোগাযোগ ব্যবহারের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন

যখনই নোটিফিকেশন তখনই চেক করা বন্ধ করুন। এটা আপনাকে ইন্টারনেট দাসে পরিণত করছে। বিষয়টি কি খেয়াল করেছেন? দিনের একটা বা সর্বোচ্চ দুইটা নির্দিষ্ট সময়েই কেবল আপনি সেগুলো চেক করতে পারেন। তবে অবশ্যই ঘুম থেকে উঠেই সেটা করা যাবে না। নিশ্চয় আপনি চাইবেন না, দিনটা শুরু হোক অন্যের এজেন্ডা মাথায় নিয়ে।

৩. ইন্টারনেটে নিজেকে সঠিকভাবে উপস্থাপন করুন

বাস্তবের আপনি আর ভার্চ্যুয়াল জগতের আপনির মধ্যে যেন খুব ফারাক না থাকে। নিজেকে ছোট করে পরিবেশন করবেন না আবার অতিরঞ্জিত করে ফাঁপিয়ে-ফুলিয়ে দেখানোরও দরকার নেই। কেননা, এর সাথে আপনার আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার বিষয়টি জড়িত। অনেকেই নিজের নাম ব্যবহার করেন না। ফুল, পাখি, অ্যাঞ্জেলের নামে, কেউবা একলা আমি, বিভ্রান্ত পথিক, ইত্যাদি নানা ছদ্মনাম ব্যবহার করেন। এর মানে কি আপনি আপনার নিজের নাম, পরিচয়, চেহেরা নিয়ে সন্তুষ্ট না? যদি না হয়ে থাকেন, আপনাকে সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। প্রয়োজনে একজন কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্টের সাথে কথা বলতে হবে। নিজেই নিজেকে শতভাগ গ্রহণ করতে না পারলে, মানসিক পীড়া বেড়েই যাবে।

৪. অন্যকে অনুসরণ করার সময় যত্নবান হোন

নেতিবাচক মানুষ, গ্রুপ, পেইজ অনুসরণ করলে আপনার ওপর তার নেতিবাচক ফল পড়বে, আর ইতিবাচককে অনুসরণ করলে ফলও হবে ইতিবাচক। আপনার ক্যারিয়ার, ভিশন, মিশনের সাথে সঙ্গতি রেখে অনুসরণ করুন। আজকেই আপনার ফেসবুকে প্রফাইল চেক করুন এবং মানসিক প্রশান্তি বিনষ্টকারী প্রোফাইল, পেইজ, গ্রুপকে আনফলো করুন। আর আপনাকে মোটিভেট করে, সঠিক তথ্য পরিবেশন করে, আপনাকে নির্মল বিনোদন দেয় শুধু এ রকম কিছুই ফলো করুন। কেননা, বিজ্ঞান বলে নেতিবাচক জিনিস আমাদের মধ্যে নেতিবাচক আবেগ তৈরি করে। তেমনই আপনার মধ্যে ইতিবাচক কিছু আবেগ তৈরি করবে।

৫. ইন্টারনেটের সবকিছুকেই বিশ্বাস করবেন না

ইন্টারনেটের তথ্যের ব্যাপারে সন্দেহপ্রবণ হওয়া ভালো। প্রশ্ন করুন, যা বলা হচ্ছে তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু। ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেইজের ক্রেডিটেনশিয়াল চেক করুন। দ্রুত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাবেন না। মনে রাখবেন, খুব সচেতনভাবে এবং দক্ষতার সাথে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বিকৃত তথ্য ছড়ানোর নজির আছে এবং অহরহ তা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও তা করা হবে। তাই যা দেখবেন সেটাকেই সত্য বলে গ্রহণ করা বোকামি হতে পারে।

৬. ব্যক্তিগত পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত রাখুন

কারও সাথেই পাসওয়ার্ড শেয়ার করবেন না। প্রেমিক, প্রেমিকা যদি ফেসবুকের পাসওয়ার্ড চায়, তাহলে সে সম্পর্কের গভীরতা প্রশ্নবিদ্ধ। যত দ্রুত সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসা যায় ততই মঙ্গল। সব সময় লগ আউট করে বের হোন। স্মার্টফোন সুরক্ষিত রাখুন। মনে রাখবেন, বাস্তব জীবনে আপনি যেমন সেজেগুজে, ডিওডেরেন্ট দিয়ে পরিপাটি থাকেন, ভার্চ্যুয়াল জগতেও সে রকম থাকার চেষ্টা করুন।

৭. নিউজ নিউজ আর নিউজ:

সংবাদমাধ্যম নিয়েও সিলেক্টিভ হোন। বস্তুনিষ্ঠ দু-তিনটি দেশি আর দু-তিনটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম অনুসরণ করলেই যথেষ্ট। আপনার ফেসবুক ফিড আর মোবাইল নিউজ দিয়ে ভরিয়ে রাখবেন না। যতটা সম্ভব ফ্রি থাকুন। সকালে উঠেই নিউজে চোখ বোলাবেন না। দিনে একবার খবরের আপডেট রাখলেই হবে।

মূল কথা হলো, আপনার ভার্চ্যুয়াল জগৎ থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রণে, ব্যবহার করবেন আপনার প্রয়োজনে। ভার্চ্যুয়াল জগতে নিজের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গেলে মানসিক চাপ মোকাবিলা করা মুশকিল হয়ে পড়বে।

[1] Young, K.S., 1996. Internet addiction: The emergence of a new clinical disorder. CyberPsychology Behav. 1, 237–244. doi: doi: 10. 1089/ cpb. 1998. 1. 237.

[2] Islam, M.A., Hossin, M.Z., 2016. Prevalence and Risk Factors of Problematic Internet Use and the Associated Psychological Distress among Graduate Students of Bangladesh. Asian J. Gambl. Issues Public Heal. 6, 1–14. doi:10.1186/s40405-016-0020-1

বিঃদ্রঃ লেখাটি মনোসন্ধিঃ মানসিক চাপ মোকাবিলার সহজ উপায় গ্রন্থ থেকে নেয়া (আংশিক সম্পাদিত)

আজহারুল ইসলাম
আজহারুল ইসলাম
+ posts

কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট।
সহযোগী অধ্যাপক, এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকাশিত বই

হইচই (২০১৯) 
মনোসন্ধি (২০১৭)
জাদুকাঠি (২০১৬) 

Post Author: আজহারুল ইসলাম

কাউন্সেলিং সাইকোলজিস্ট। সহযোগী অধ্যাপক, এডুকেশনাল এন্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রকাশিত বই হইচই (২০১৯)  মনোসন্ধি (২০১৭) জাদুকাঠি (২০১৬) 

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।