ঘুমাতে পারিনা

মানসম্মানের ভয়ে টেনশনে রাতে ঘুমাতে পারিনা

শুরুতে আমার ছালাম নিবেন। স্যার আমার জীবনে যেদিন থেকে মনে পড়ে, সেদিন থেকে অতিব অভাব -অনটন, প্রচন্ড পরিশ্রম আর প্রতিনিয়ত জীবনের সাথে যুদ্ধ করে, বাংলায় অনার্স কমপ্লিট করে গার্মেন্টসে চাকুরি করছি। কিন্তু সেই জীবন যুদ্ধ থেকে মুক্তি পাওয়ার বদৌলতে মনে হয় জীবনের শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছি।

সহায় সম্বলহীন বাবা মায়ের তিন সন্তানের মধ্যে আমি সবার বড়। বাবা আমাদের সংসার আর লেখাপড়ার খরচ চালাতে গিয়ে মানুষের কাছ থেকে ধারদেনা করেছে। সেই ধারদেনা দিতে এনজিও থেকে ঋণ নিয়েছে। এনজিওর কিস্তি দিতে চড়া সুদে মানুষের কাছ থেকে লোন নিয়েছে। এভাবে ঋণের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে পাহাড়সম হয়েছে। ২০১১ সালে চট্রগ্রাম এসে গার্মেন্টসে চাকুরি নিই। কিছুতেই ঋণ কমাতে পারিনা। মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা কিস্তি। এর মাঝে ছোটবোনটার বিয়ের বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিয়ে সেই টাকা তুলে বোনের বিয়ে দিই।

এই কয়েক বছরের চাকুরি ক্যরিয়ারে সারাদিন চাকুরি আর মানুষের কাছে ধারদেনা আর নির্ঘুম রাত পার করেছি। বাবা মা চিন্তায় চিন্তায় শুকিয়ে গিয়েছে। সারাদিন ছুটাছুটি আর সারারাত টেনশন করে। আমাদের এমন কিছু নেই যা বিক্রি করে এখান থেকে মুক্তি পাবো। বাড়ীর ভিটেমাটি থাকলেও বিক্রি করতাম। মানুষের জমিতে ছোট ছোট দুইটা কাঁচা ঘর। বাবা-মা’র মুখে হাসি ফোটাতে পারলাম না। তাদেরকে টেনশনমুক্ত একটা দিন অথবা রাত উপহার দিতে পারলাম না। নিজে এক মুহুর্ত শান্তি পাইনা। মানসম্মানের ভয়ে টেনশনে রাতে ঘুমাতে পারিনা।

জীবনে কখনো কোনদিন একটা টাকা অবৈধ পথে খরচ করিনি। শুধু আমি না আমার পরিবারের কেউ কখনো ভোগ বিলাসিতা চোখে দেখেনি। হিংস্র বাঘ তাড়া করলে মানুষ যেমন দিকবিদিক হারিয়ে দৌড়ায়, ঠিক তেমনি প্রতিটি মূহূর্ত কাটে আমার। বাবা এবং আমার ৬-৭ লক্ষ টাকা ঋণ। ঋণ করে সুদ দিয়েছি, ঋণ করে ঋণ দিয়েছি। ঋণ করে মাছ মাংস কিনে খাইনি। পরিবারের কেউ এমন কি আমিও ৫০০ টাকা খরচ করে কখনো পোষাকও কিনিনাই। আমরা পরিবারের সবাই খাওয়া আর পোষাক পরিচ্ছদে যে কি পরিমাণ কষ্ট করেছি তা আমরা আর আল্লাহ ছাড়া কেউ জানেনা। তবুও এ কষ্টগুলো কখনো আমাদের কষ্ট বলে মনে হয়না। কারণ খাওয়া পরা নিয়ে কখনো কিছু ভাবারতো অবকাশ পাইনি। প্রতিটা দিন, প্রতিটা মুহূর্ত কি যে টেনশনে কাটে, তা কাকে বুঝাবো? কিভাবে বুঝাবো? কে বুঝবে? এমন রক্ত মাংসে গড়া মানুষ কি পৃথিবীতে আছে? সপ্তাহে শুক্রবার বাদে প্রতিদিন কিস্তি। প্রতি সপ্তাহে ১০-১২ হাজার টাকা। এর উপর সুদের টাকা। ব্যাংকের ক্রেডিট কার্ডের টাকা। সব মিলিয়ে একটা গভীর গর্তে ডুবে যাচ্ছি আমি আর আমার বাবা-মা।

আমাদেরকে এ গভীর গর্ত থেকে টেনে তোলার মত কোন মানুষ নাই। আমার বাবা মা ভাই বোন স্ত্রী আর কলিজার টুকরো দুই নয়ন মনি সেই গ্রামের বাড়ীতে ফেলে শহরে একা থেকে গার্মেন্টসে চাকুরি করি। এত কষ্ট করেও শেষ রক্ষা হলনা। বাবা বারবার ফোনে বলছে, বাবারে সব পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে, এবার বুঝি মানসম্মান সব গেল, কারো কাছে টাকা পাচ্ছিনা। কিভাবে কিস্তি দিব। মানুষ টাকার জন্য বাড়ীতে আসছে। চাউল নাই। দোকানে বাঁকী দিচ্ছেনা। আমাদের দিন ঘনিয়ে এসেছে। মৃত্যু ছাড়া আর কোন উপায় নেই। বাবার মুখে এমন কথা শুনে সন্তান হিসেবে কিভাবে সহ্য করি? বলতে পারেন? সারাজীবন বাবা মাকে মিথ্যে স্বপ্ন দেখিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছি। এখন কি বলবো? আমার এখানেও সেই একই অবস্থা। ব্যাংক থেকে লোক আসছে টাকার জন্য। পাওনাদারেরা ফোন করে পাগল বানিয়ে ফেলছে। আমি আর পারছিনা স্যার। আমি আর পারছিনা। কতবার ভাবি কেউ যদি আমার সার্টিফিকেটগুলো জামানত হিসেবে নিয়েও যদি এ ঋণ নামক অভিশাপ থেকে মুক্তি দিতো। আজীবন তার জন্য এবং তার পরিবারের জন্য নফল নামাজ পড়ে দোয়া করতাম। কিন্তু এটা তো বাংলাদেশ। এদেশে এমন মানুষ হয়তো নাই। যাহোক স্যার জানিনা কি হবে? কি করবো এখন?  বারবার আমার কচি শিশুদুটোর আব্বু ডাকটা আর অসহায় বাবা মায়ের করুন মুখটা আমাকে কঠিন ডিসিশন নিতে বাঁধা দিচ্ছে। আমি জানি এটা করলে সবাই আমাকে দোষারোপ করবে। কিন্তু বলতে পারেন স্যার আমার এখন কি করা উচিৎ? পাওনাদারদের কি জবাব দিবো? ব্যাংকের লোক কে, এনজিওর লোকদের কি বলবো? একজন মানুষ কখন, কোন পরিস্থিতিতে সুইসাইড করার মত মহাপাপ করার সিদ্ধান্ত নেয় তা কেউ কখনো জানার চেষ্টা করেনা। এখন আমাদের সুইসাইড ছাড়া আর কোন পথ আছে বলে আমার মাথায় আসছেনা। স্যার জানিনা আপনাকে এভাবে বলা আমার উচিত হচ্ছে কিনা! তবে আমারও তো বাঁচতে ইচ্ছে করে। বাবা মার মুখে সন্তানের মুখে হাসি দেখতে ইচ্ছে করে। স্যার আমাকে টাকা-পয়সা দিতে হবেনা। শুধু আমাকে দয়া করে বলবেন, মৃত্যু ছাড়া আমাদের আর কোন পথ আছে কিনা। আমি এখন কি করবো? হয়তো আপনার সুপরামর্শে বেঁচে যাবে আমার এবং আমার বাবা মার জীবন। আপনার সুচিন্তিত মতামতের অপেক্ষায় আছি। সেই পর্যন্ত যত কষ্ট আর সম্মানহানি হোক নিজেকে সামলে নিবো। বড্ড বাঁচতে ইচ্ছে করে স্যার। আমি ছাড়া আমার সন্তানদের ভবিষ্যত কি হবে? এসব ভেবে মরতে পারছিনা। আবার চারিদিকের চাপে বাঁচতেও পারছিনা। কিন্তু মান সম্মান না থাকলে তো আর বেঁচে থাকা যাবেনা। স্যার আমি আপনার সদুপদেশের অপেক্ষায় রইলাম।

আমাদের পরামর্শ

শুরুতেই মনোযোগী মনের পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপনার অপেক্ষার জন্য। এত কঠিন সময়ের মধ্যেও যে আপনি যৌক্তিকভাবে চিন্তা করছেন এবং সাহায্য প্রার্থনা করছেন এটা সত্যি প্রশংসনীয়।

আপনার লেখা থেকে বুঝতে পারছি কতটা অসহায়ত্ববোধ থেকে আপনি আমাদের কাছে লিখেছেন। আরও বুঝতে পারছি, দীর্ঘদিন থেকে আপনি এবং আপনার পরিবার প্রচন্ড আর্থ-সামাজিক টানাপোড়েনের ভিতর দিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষত আর্থিক অবস্থার উন্নয়নের বা উত্তরণের কোন পথ আপনি এই মুহূর্তে দেখতে পারছেন না। শুধু তাই না, সমাজের কাছে আপনার এবং পরিবারের ভাবমূর্তি নিয়েও আপনি এবং আপনার পরিবার প্রচন্ড উদ্বিগ্নতায় ভুগছেন। এতকিছুর ভেতরেও লক্ষনীয় ইতিবাচক বিষয় হচ্ছে, আপনি এবং আপনার পরিবারের সদস্যরা নৈতিকভাবে দৃঢ় এবং স্বচ্ছ আছেন। ভোগ বিলাসিতার ঊর্ধ্বে থেকে অতি সাধারণ জীবনযাপন করছেন। এটা অনেক সাহসের ব্যাপার।

এত টানাপোড়েনের মধ্যেও আপনি পড়াশুনা সমাপ্ত করে একটি চাকরি করছেন যা কিনা এই মুহূর্তে আপনার জন্য অন্যতম অবলম্বন বা সাপোর্ট হিসেবে কাজ করছে। আপনার বর্ণনা থেকে আরেকটি বিষয় স্পষ্ট- আপনি অনেক দায়িত্বশীল এবং সহমর্মী একজন মানুষ যে কিনা পরিবারের সদস্যদের প্রতি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি তাদের আবেগের প্রতিও অনেক শ্রদ্ধাশীল। হয়ত বর্তমান পারিপার্শ্বিক এবং আর্থসামাজিক অবস্থা আপনাকে আপনার ইতিবাচক গুণগুলোকে দেখতে সাহায্য করছে না, তবে একটি কথা মনে রাখবেন পরিস্থিতি সবসময় একই রকম থাকে না, বরং পরিবর্তনশীল। বিশেষত সংকটময় পরিস্থিতিতে যদি আমরা নিজের ইতিবাচক বিষয়গুলোকে সামনে নিয়ে আসতে পারি এবং নিজের প্রতি আস্থা রাখতে পারি তাহলে ঐ পরিস্থিতি মোকাবেলায় অনেকখানি অগ্রসর বা ফলপ্রসূ হওয়া যায়।

আমি উপলব্ধি করছি যে,  আর্থিক অভাব অনটন এবং ঋণের বোঝার ভারে আপনি প্রচন্ড ভারাক্রান্ত। একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ আপনার সামনে। তবে আত্নহত্যা করা মানে এই চ্যালেঞ্জটাকে এড়িয়ে যাওয়া। সেটা কোন যৌক্তিক সমাধান নয়। কারণ চ্যালেঞ্জটাকে বা সমস্যাটাকে সামনাসামনি মোকাবেলার মাধ্যমেই এর বাস্তবিক সমাধান সম্ভব হবে। তাছাড়া আপনি আপনার পরিবারের সদস্যদের অনেক ভালোবাসেন। তাঁরাও কিন্তু আপনার জন্য বেঁচে থাকার বড় অনুপ্রেরণা। সর্বোপরি প্রত্যেকটি মানুষই কিন্তু নিজেকে ভালবাসতে চায় এবং পৃথিবীতে যতদিন সম্ভব বেঁচে থাকতে চায়। আর নিজেকে বাঁচিয়ে রাখা বা ভালো রাখার দায়িত্ব কিন্তু নিজেকেই নিতে হয়।

আর্থিক অনটনের কারণে আপনি এবং আপনার পরিবার ঋণ নেয়ার উপরে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। ধীরে ধীরে ঋণের পরিমাণ বেড়েছে এবং বর্তমানে সেটা খুব বড় অংকের টাকায় পরিণত হয়েছে যা কিনা বর্তমানে আপনাদের প্রচন্ড বিপাকে ফেলছে। এই বাস্তবতায় প্রধান যে বিষয়টি আপনাকে সাহায্য করতে পারে বলে আমি মনে করি সেটা হচ্ছে ধৈর্য। কারণ আর্থিক সংকট এত বড় আকারে যেমন একদিনে তৈরি হয়নি, ঠিক তেমনি এটার সমাধান খুব দ্রুত হবে এটা চিন্তা করাও বাস্তবিক না। বরং এ মুহূর্তে ধৈর্যের সীমাটাকে আরেকটু বাড়াতে হবে, পাশাপাশি আপনার নিজের প্রতি বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধা রাখতে হবে। নিজেকে শেষ করে দেয়া মানে নিজের প্রতি বিশ্বাসহীনতা এবং অশ্রদ্ধাশীল হওয়া।

কারণ আর্থিক সংকট এত বড় আকারে যেমন একদিনে তৈরি হয়নি, ঠিক তেমনি এটার সমাধান খুব দ্রুত হবে এটা চিন্তা করাও বাস্তবিক না।

এক্ষেত্রে একটি বিষয়ে গুরুত্বের সাথে দৃষ্টি দিতে হবে যে, আর কোন ধরনের ঋণ নেয়া থেকে বিরত থেকে অন্য উপায়গুলো নিয়ে ভাবা যায় কি না। আপনার আশেপাশের সাপোর্ট সিস্টেমকে কাজে লাগানো যায় কিনা। যেমন, আপনার পরিবারের সদস্যরা কিন্তু আপনার জন্য বড় একটি সাপোর্ট হতে পারে। আপনার লেখা থেকে বোঝা যাচ্ছে আপনি আপনার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনি ছাড়াও যদি অন্য সদস্যরা অল্প পরিসরে কিছু কাজ করে কিছুটা উপার্জনক্ষম হতে পারে, তাহলে আপনার একার উপর চাপ কিছুটা হলেও কমবে এবং তারাও হয়ত ভালো বোধ করবে। কারণ সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে বড় পদক্ষেপ অনেক ক্ষেত্রেই নেয়া সম্ভব নাও হতে পারে, সেক্ষেত্রে আমরা যদি সবাই মিলে এটাকে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নেই, তাহলে সমস্যাটা সমাধান অনেক সহজ হয়ে যায়।

এছাড়াও আপনি আপনার অন্য কোন সাপোর্ট সিস্টেম আছে কিনা, যেমন, কোন ভালো বন্ধু বা আত্মীয় যারা আপনাকে সহায়তা করতে পারে, একটু ভেবে দেখতে পারেন। তাদের পরামর্শ এবং সহায়তা চাইতে পারেন। সর্বোপরি মনে রাখবেন, সমস্যাটি সমাধানের জন্য বর্তমানের ছোট একটি পদক্ষেপ ভবিষ্যতের বোঝাটাকে ধীরে ধীরে লাঘব করতে পারে। তাই ভবিষ্যৎ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারনা এবং অনুভূতিগুলোকে একটু দূরে সরিয়ে বর্তমানের প্রয়াসটিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিজেকে দোষারোপ বা ছোট না করে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যেমন আপনি বলেছেন, টেনশনের কারণে নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। একটু কি ভেবে দেখবেন এই নিদ্রাহীনতা আপনার সমস্যা সমাধানে কোন ভূমিকা রাখছে নাকি আপনার শারীরিক এবং মানসিক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে?

আমি বুঝতে পারছি আপনার সমস্যাটির গভীরতার ব্যপ্তি অনেক হওয়ায় আপনি অনেক বেশি উদ্বিগ্নতায় ভুগছেন যা কিনা আপানার দৈনন্দিন স্বাভাবিক আচরণকে প্রভাবিত করছে। তবে সমস্যা সমাধানের জন্য আপনি কোন উপায়টি বেঁছে নেবেন, সেটা কিন্তু আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অর্থাৎ দুশ্চিন্তায় মগ্ন হয়ে নির্ঘুম রাত কাটানো নাকি নিজের প্রতি যত্নশীলতা আর বিশ্বাসের সাথে বর্তমানকে মোকাবেলা করা। সিদ্ধান্ত আপনার হাতে।  

ভাল থাকবেন। শুভকামনা রইল।

Author profile pic
ইরফানা সামিয়া
+ posts

আমি একজন শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী এবং সাইকোথেরাপিস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান-এ স্নাতক, পেশাগত শিক্ষা মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং এম ফিল সম্পন্ন করেছি। তাছাড়া ভারত থেকে কাউন্সেলিং বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছি। দীর্ঘ ১৩ বছর কাউন্সেলিং পেশার সাথে যুক্ত আছি। বর্তমানে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সিনিয়র কাউন্সেলর হিসাবে কাজ করছি।

Post Author: ইরফানা সামিয়া

আমি একজন শিক্ষা মনোবিজ্ঞানী এবং সাইকোথেরাপিস্ট। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মনোবিজ্ঞান-এ স্নাতক, পেশাগত শিক্ষা মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং এম ফিল সম্পন্ন করেছি। তাছাড়া ভারত থেকে কাউন্সেলিং বিষয়ে ডিপ্লোমা করেছি। দীর্ঘ ১৩ বছর কাউন্সেলিং পেশার সাথে যুক্ত আছি। বর্তমানে একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে সিনিয়র কাউন্সেলর হিসাবে কাজ করছি।

1 thought on “মানসম্মানের ভয়ে টেনশনে রাতে ঘুমাতে পারিনা

    Abu Hurayra

    (এপ্রিল 1, 2020 - 1:23 অপরাহ্ন)

    স্যার প্রথমেই আমার সালাম নিবেন। স্যার আমারা ৩ভাই ১বোন আমার বোনটা সবার ছোট্ট। স্যার জেহেতু প্রশ্নের উত্তর দেবেন জার জন্য জিবোন কাহিনি উল্লেখ করলাম্না স্যার ২০১৭ সালে আমি ssc পরিক্ষা দিয়ে পারিবারিক সমস্যার কারোনে ঢাকা চলে আসি এখানে গারমেন্টসএ এক্টা চাক্রি নেই খুবি সামান্য বেতনে জা দিয়ে শুধু আমি নিজে চলতে পারি কিন্তু স্যার এইখানে এসে আমি এখানকার কিছু লোকের সাথে মিসি মিথ্যা কথা বলবোনা স্যার খারাপ কথা হলেও জেটা সত্য সেটাই বলতেছি। এখানকার কিছু জুয়ারিদের সাথে আমার পরিচয় হই কিছু বুঝে উঠার আগেই আমি রিন হয়ে জাই ৫০.০০০ টাকা আমি জখন বুঝতে পারি অরা আমার ভালো চাইনা আমি আর কোন দিন ওই আড্ডায় জাইনা শুধু আফিস আর বাসা টেন্সনে রাতে ঘুম হইনা আমার পরিবারের সামরথ্য নাই জে আমাকে কিছু টাকা দিয়ে বাচাবে কিন্তু স্যার আমি বাচতে চাই আমি ভালো হয়ে বাচতে চাই কিন্তু পারছিনা এই টাকার জারা পাপে তাদের পেরায় আমি হইতো বাজবোনা এরোকোম মনে হই সব সমায় স্যার আমি কি করতে পারি স্যার এক্টু ভালো বেতোনে কোন চাক্রি ও পাইলে স্যার হইতো রিন গুলা দিয়ে সাভাবিক জিবোন জাপন করতে পারতাম কিন্তু চাক্রি দেওয়ার মোতোও কোন লোক নাই স্যার। স্যা আমাকে একটা সঠিক পরামস্য দিয়ে হেল্প করবেন স্যার জেনো আমি সাভাবিক জিবনে ফিরে আসতে পারি আত্তহত্যার কথা মাথায় না আসে । স্যার আপনার সু পরামর্শের জন্য অপেক্ষা করছি ভালো থাকবেন

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।